মসজিদে বন্দুক হামলার ভিডিও শেয়ার করায় যুবকের ২১ মাসের কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক :

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে দু’টি মসজিদে বন্দুক হামলার ভিডিও শেয়ার করায় এক ব্যক্তিকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। 

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি ফিলিপ আর্পস তার এক বন্ধুসহ ৩০ জন ব্যক্তির কাছে বিভৎস সেই ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। এছাড়াও তিনি তার বন্ধুকে বলেছিলেন ভিডিও’টিতে কতজনকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে তা গণনার ব্যবস্থা যোগ করার জন্য। – খবর বিবিসি

ক্রাইস্টচার্চ শহরের ডিস্ট্রিক্ট জাজ স্টিফেন ও’ড্রিস্কল আর্পস সম্পর্কে বলেন, তিনি মুসলিমদের প্রতি ‘বিরুপ মনোভাব’ পোষণ করতেন।

গেল ১৫ মার্চ শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের আল-নুর ও পার্শ্ববর্তী লিনউড মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করতে গিয়ে অস্ট্রেলীয় শেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্যবাদী সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বন্দুক হামলায় ৫১ জন নিরীহ মুসলিম নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরো অর্ধশতাধিকেরও বেশি লোক। 

ঘটনার সময় নিউজিল্যান্ডে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরাও নামাজ আদায় করতে আল-নুর মসজিদে গিয়েছিলেন। তবে সৌভাগ্যক্রমে বন্দুক হামলা থেকে বেঁচে যান তারা। 

বন্দুক দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে মুসলমানদের মারার সময় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে তিনি তা সরাসরি সম্প্রচারও করেন। পরবর্তীতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ও নিউজিল্যান্ড সরকার সেই ভিডিও শেয়ার করার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আনে।

তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় আদালত আর্পস’কে সোমবার অভিযুক্ত করে। নিষিদ্ধ জিনিস শেয়ার করায় আর্পস’কে দু’টি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। 

আর্পস যে গণহত্যাকাণ্ডের ভিডিওটিতে নিহতের সংখ্যা যোগ করতে চেয়েছিলেন এবং বিভৎস সেই ভিডিওটিকে ‘চমৎকার’ বলে মন্তব্য করেছিলেন, আদালতের শুনানিতে তাও প্রকাশ করা হয়। 

বিচারক স্টিফেন ও’ড্রিস্কল আর্পসে’র কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে সেগুলোকে ‘হেট ক্রাইম’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, হার্পস যা করেছে, তা খুবই নিন্দনীয় ও নিষ্ঠুর।

মুসলিমদের প্রতি দণ্ড পাওয়া ফিলিপ আর্পসে’র এমন নিষ্ঠুর আচরন নতুন নয়। এর আগেও একবার ২০১৬ সালে তিনি আল-নুর মসজিদে শুকরের কাঁটা মাথা রেখে আসার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।